বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মানব জীবনে বিদ্যুতের
প্রয়োজন
শক্তির বিভিন্ন রূপের মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রূপ। এটি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ আলো জ্বালায়, পাখা চালায়,
রেডিও, ফ্রিজ, টিভি এবং কম্পিউটার পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
বিদ্যুতের সাহায্যে রান্না করা যায়। এর সঠিক ব্যবহার বুঝতে হলে আমাদের
বিদ্যুৎ বা তড়িৎ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। স্পষ্ট ধারণা থাকলে আমরা
বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবো, অপচয় রোধে যত্নবান হতে পারবো এবং
অন্যদেরও সচেতন করতে সাহায্য করতে পারবো।
পোস্ট সূচিপত্র:
-
ভূমিকা
-
ইলেকট্রিক সার্কিট বা বিদ্যুৎ বর্তনী
-
বাড়িতে বিদ্যুৎ বর্তনীর নকশা বা হাউজ ওয়ারিং
-
বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ বলতে কি বুঝি
-
প্রত্যাহিক জীবনে বিদ্যুৎ বিশ্লেষণের গুরুত্ব
-
বিদ্যুতের ক্ষমতা এর আলোকপাত
-
উপসংহার
ভূমিকা
আমরা আমাদের দৈনন্দিন এবং কর্মজীবনে বিদ্যুতের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল,
এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে আমাদের সব কাজ থেমে যায়।
অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে আমরা সাময়িকভাবে ভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ
ব্যবহার করি।
ইলেকট্রিক সার্কিট বা বিদ্যুৎ বর্তনী
আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ কিভাবে ব্যবহার করি, সেটি বুঝতে হলে
আমাদের ইলেকট্রিক সার্কিট বা বিদ্যুৎ বর্তনী সম্পর্কে কিছু বিষয়
জানতে হবে।
ব্যাটারি সেলকে সিরিজে লাগানো হলে ব্যাটারির
বিভব যোগ হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ব্যাটারি সেলের বিভব ১.৫ ভোল্ট
হয়, তবে দুটি ব্যাটারি সেল দিয়ে ৩ ভোল্ট এবং তিনটি সেল দিয়ে ৪.৫
ভোল্ট পাওয়া যায় । সেল সমান্তরাল ভাবে লাগানো হলে তাদের বিভবে
পরিবর্তন হয় না, কিন্তু তারা বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে সক্ষম হয়
এবং সার্কিটে বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে পারে। সিরিজ
সার্কিটে একটি বাল্ব অনেক উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে, কিন্তু দুটি বা তিনটি
বাল্ব লাগানো হলে বিদ্যুৎ প্রবাহ অনুপাতিকভাবে কমে যাবে বলে
বাল্বগুলো অনুকূল ভাবে জ্বলবে। সিরিজ সার্কিটে একটি সুইচ লাগানো হলে,
সুইচ অফ করার সাথে সাথে সবগুলো বাল্ব একসাথে নিভে যাবে।
সার্কিটে
আমরা যতগুলো বাল্ব লাগাই না কেন, সবগুলোই দুই প্রান্তেই ব্যাটারি সেল
থেকে সমান বিভব পার্থক্য পায় বলে সবগুলো বাল্ব সমান উজ্জ্বলতায়
জ্বলবে। এই সার্কিটে ইচ্ছে করলে প্রত্যেকটা বাল্বের জন্য আলাদা সুইচ
লাগানো যেতে পারে বা প্রত্যেকটি আলাদাভাবে জ্বালানো ও নিভানো
সম্ভব।
ব্যাটারি সেলের বিভব পার্থক্য সব সময় সমান থাকে, এবং এগুলোকে
ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) সাপ্লাই বলা হয়। এই সার্কিটে ইচ্ছে করলে
প্রত্যেকটি বাল্বের জন্য আলাদা সুইচ লাগিয়ে প্রত্যেকটি আলাদা ভাবে
জ্বালানো এবং নিভানো সম্ভব।
ব্যাটারি সেলের বিভব পার্থক্য সমান থাকে বলে এগুলো ডিসি সাপ্লাই
হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, আমাদের বাসায় যে বৈদ্যুতিক সাপ্লাই
দেওয়া হয়, সেটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার ধনাত্মক থেকে ঋণাত্মক
বিভাবে পরিবর্তিত হয় বলে সেগুলোকে এসি (অলটার্নেটিং কারেন্ট) বলা
হয়। সাধারণ ব্যাটারি সেলের বিভব পার্থক্য মাত্র ১.৫ ভোল্ট। সেই
তুলনায়, আমাদের বাসায় বিদ্যুৎ সাপ্লাই ২২০ ভোল্ট। উল্লেখ্য,
বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ ভোল্টের বেশি হলে আমরা সেটি অনুভব করতে পারি এবং
২২০ ভোল্ট সাপ্লাই থেকে অনেক বড় ইলেকট্রিক শক খাওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। এই ইলেকট্রিক শকের কারণে শরীরের ভেতর দিয়ে যথেষ্ট বিদ্যুৎ
প্রবাহিত হলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
বাড়িতে বিদ্যুৎ বর্তনীর নকশা বা হাউজ ওয়ারিং
আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে। এই সংযোগ দেওয়ার
পূর্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণের জন্য একটি নকশা আঁকতে হয়।
বাড়িতে বিদ্যুৎ বিতরণের একটি নকশা কেমন হতে পারে তা দেখানো
প্রয়োজন। বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য সিরিজ বর্তনী উপযোগী নয়, কারণ
সুইচ অন করলে একই সাথে সব বাল্ব জ্বলে উঠবে এবং সুইচ অফ করলে
সবগুলো একই সাথে নিভে যাবে। এছাড়া, সবগুলো সিরিজে থাকলে কোন
বাল্ব বা ফ্যান প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ পাবে না, কারণ ভোল্টেজ
ভাগাভাগি হওয়ার কারণে কমে যায়। মূলত, বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের
জন্য সমান্তরাল সংযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়।
**হাউস ওয়াইরিং:**
হাউস ওয়াইরিং এর বিভিন্ন বিষয়বস্তু যেমন মেন লাইন সংযোগ, ফিউজ
বা সার্কিট ব্রেকার, মেইন সুইচ, প্লাগ সকেট, ডিস্ট্রিবিউশন বাক্স
এবং প্রয়োজনীয় বাতি বা পাখার সংযোগ দেওয়া হয় বা কিভাবে দিতের
দুটি: একটি হলো জীবন্ত তার, সাধারণত লাল রঙের, এবং অন্যটি
নিরপেক্ষ তার, সাধারণত কালো রঙের।
এই সুইচের সাহায্যে বাড়ির ভিতরে বিদ্যুৎ প্রবাহ প্রয়োজন
হলে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া যায়। মেইন সুইচ থেকে তার দুটি
ডিস্ট্রিবিউশন বক্সে যায়। সেখানে দুটি তার বিভিন্ন শাখা লাইনে
বিভক্ত হয়। প্রত্যেক শাখা লাইনের জন্য পৃথক পৃথক ফিউজ বা
সার্কিট ব্রেকার থাকে। লাইটের জন্য ৫ অ্যাম্পিয়ার, ফ্যানের জন্য
১০ অ্যাম্পিয়ার, হিটারের জন্য ১৫ অ্যাম্পিয়ার এবং প্লাগ সকেটের
জন্য ৩০ অ্যাম্পিয়ার সার্কিট ব্রেকার লাগানো হয়।
প্রত্যেকটি জীবন্ত তারের সংযোগ এবং প্রত্যেকটি বাতি ও পাখার
জন্য আলাদা আলাদা সুইচ সংযোগ দেওয়া থাকে। বাড়িতে বৈদ্যুতিক
ওয়ারিং দেওয়ার সময়, বাতি বা পাওয়ার সুইচের যাবতীয় ফিউজ
যেন জীবন্ত তারে সংযোগ হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে
হবে।
তাছাড়া, সমস্ত তার পিভিসি বা যেকোনো অপরিবাহী পদার্থ
দ্বারা মোড়ানো থাকতে হবে। বর্তমানে ওয়ারিং কেবল সাধারণত
দেওয়ালের প্লাস্টারের ভেতর দিয়ে টানা হয়। এছাড়া, সব ধরনের
যন্ত্রপাতির জন্য ফিউজ সংযোগ নিশ্চিত
বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ বলতে কি বুঝি
কোন দ্রবণে বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রবাহিত করে তার ধনাত্মক ও
ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।
তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যমে দ্রবণটি দুই ভাগে বিভক্ত বা
বিশ্লেষণ করা হয়, যা তড়িৎ দ্রব্য বা তড়িৎ বিশ্লেষণ
পদার্থ হিসেবে পরিচিত। আমরা আগে দেখেছি যে পরিবাহকের দুই
পাশে ব্যাটারি সেল দিয়ে বিভব পার্থক্য তৈরি করলে মুক্ত
ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়, যাকে আমরা বিদ্যুৎ বা তড়িৎ
প্রবাহ বলি
।আরো পড়ুন
তড়িৎ বিশ্লেষণের সময়, দ্রবণের ভেতর দিয়ে কিভাবে
বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে, সেটাই মূল বিষয়। তড়িৎ
বিশ্লেষণের (ইলেকট্রোলাইসিসের) সময় তড়িৎ দ্রবণটি
ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নে বিভক্ত হয় এবং তাদের প্রবাহের
মাধ্যমে দ্রবণের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রভাবিত হয়।
ক্ষার, কিছু নিরপেক্ষ লবণ, এসিড মিশ্রিত পানি ইত্যাদি
তড়িৎ দ্রবণ বা তড়িৎ বিশ্লেষণ পদার্থ। স্বাভাবিক
অবস্থায় ইলেকট্রনের সংখ্যা নিউক্লিয়াসের অবস্থিত
প্রোটনের সংখ্যার সমান থাকে। যদি কোনো অণু, পরমাণু বা
যৌগের ইলেকট্রনের সংখ্যা স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম বা
বেশি হয়, তাহলে তাকে আয়ন বলে। তড়িৎ বিশ্লেষণের সময়
তড়িৎ দ্রবণ ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক আয়নে ভাগ হয়ে যায়।
প্রত্যাহিক জীবনে বিদ্যুৎ বিশ্লেষণের গুরুত্ব
তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ধাতুর ওপর অন্য
কোন ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলে। সাধারণত,
কম দামি ধাতু যেমন তামা, লোহা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি দিয়ে
তৈরি জিনিসকে জলবায়ুর ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য
কিংবা সুন্দর দেখানোর জন্য সেগুলোর ওপর সোনা, রূপা,
নিকেলের মতো মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।
1. প্রথমে, প্রলেপ দিতে হবে এমন ধাতব বস্তু খুব
ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি পাত্রে রাখতে
হবে। এই ধাতব বস্তুটি হবে ক্যাথোড (ঋণাত্মক
ইলেকট্রোড)।
2. যেই ধাতুর প্রলেপ দিতে হবে, সেটিকে অ্যানোড
(ধনাত্মক ইলেকট্রোড) বলা হয়।
3. তড়িৎ দ্রবণ হিসেবে যে ধাতুর প্রলেপ দিতে হবে
তার একটি লবণের দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
4. ব্যাটারি বা পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করে
অ্যানোড থেকে ক্যাথোডে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে,
তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে ধাতুর আয়ন ক্যাথোডে রাখা
ধাতব বস্তুর ওপর প্রলেপ পড়ে যায়।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, ক্যাথোডে থাকা ধাতব
বস্তুর ওপর সোনা, রূপা বা নিকেলের প্রলেপ স্থাপিত
হয়, যা বস্তুটিকে আরও টেকসই ও আকর্ষণীয় করে
তোলে।
**তড়িৎ মুদ্রণ:** তড়িৎ প্রলেপের একটি বিশেষ
পদ্ধতি ব্যবহার করে হরফ ব্লক, মডেল ইত্যাদি তৈরি
করাকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে। তড়িৎ মুদ্রণের জন্য
প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপের মোমের ওপর ছাপা
হয়। এরপর, এর ওপর কিছু গ্রাফাইট গুঁড়ো ছিটিয়ে
একে তড়িৎ পরিবাহী করা হয়।
প্রক্রিয়া:
1. মোমের ওপর ছাপানো লেখাটিকে তড়িৎ পরিবাহী
করার পর এটি কপার সালফেট দ্রবণে ক্যাথোড
(ঋণাত্মক ইলেকট্রোড) হিসেবে ডুবানো হয়।
2. একটি তামার পাতকে অ্যানোড (ধনাত্মক
ইলেকট্রোড) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
3. দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালালে মোমের ওপর
তামার প্রলেপ পড়বে।
প্রলেপ পড়া সম্পন্ন হলে, তামার প্রলেপযুক্ত
মোমকে ছাঁচ হিসেবে ব্যবহার করে হরফ ব্লক বা মডেল
তৈরি করা হয়, যা মুদ্রণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
**ধাতু নিষ্কাশন ও শোধন:** খুনি থেকে কোন ধাতু
সাধারণ বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না, কারণ
তারা সাধারণত নানা ধাতুর মিশ্রণে থাকে যা
আকরিক বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে
আকরিক থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন এবং শোধন করা
যায়।
ধাতু নিষ্কাশনের পদ্ধতি:
1. আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন করার জন্য,
আকরিকটি অ্যানোড (ঋণাত্মক ইলেকট্রোড) হিসেবে
ব্যবহার করা হয়।
2. ধাতু নিষ্কাশনের জন্য যে ধাতুর প্রলেপ করতে
হবে, সেটিকে ক্যাথোড (ধনাত্মক ইলেকট্রোড)
হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
3. ধ্রুবকের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালালে, আকরিক
থেকে বিশুদ্ধ ধাতু নিষ্কাশিত হয় এবং ক্যাথোডে
সংরক্ষিত হয়।
এই পদ্ধতিতে ধাতু নিষ্কাশন এবং শোধন একত্রিত
হয়, যা বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয় যেমন
তড়িৎ মুদ্রণে।
বিদ্যুতের ক্ষমতা এর আলোকপাত
**তড়িৎ ক্ষমতার হিসাব:** পদার্থবিজ্ঞানের
ভাষায়, "কাজ" শব্দটির একটি সুনির্দিষ্ট
অর্থ আছে, যা শক্তির একক ইচ্ছে জুল। শক্তি
প্রয়োগ করে কাজ করা যায় এবং কাজ করার হার,
অর্থাৎ একক সময়ে সম্পূর্ণ কাজকে ক্ষমতা
বলে। যেমন, একটি তড়িৎযন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে
যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে, তা অন্য
শক্তিগুলির রূপান্তর বা তাপ উৎপন্ন করতে
ব্যবহৃত হয় তা তড়িৎ ক্ষমতা বলে।
**কিলোওয়াট:** একটি রোড বা তড়িৎ যন্ত্রের
দুই পাশের বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হলে, যদি
এর মধ্যে এক এম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয়,
তবে ওই যন্ত্রের ক্ষমতা এক ওয়াট। যখন বেশি
বিদ্যুৎ ক্ষমতা ব্যবহৃত হয়, সেটাকে
কিলোওয়াট (কেবলমাত্র ওয়াটের সাত শতাংশ) বা
মেগাওয়াটে (এক মিলিয়ন ওয়াট) প্রকাশ করা
হয়।
তড়িৎ ক্ষমতার হিসাবে, যেসব বৈদ্যুতিক
যন্ত্র লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার ইত্যাদি
ব্যবহার করে কত পরিমাণ বিদ্যুৎ বা তড়িৎ
ক্ষমতা প্রয়োজন হয় সেটি উল্লেখ থাকে। এটি
সহজে ব্যায়িত শক্তির পরিমাণ বের করার
সাহায্য করে।
উপসংহার
উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা জানলাম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের
ভূমিকা কতটুকু। এবং বিদ্যুৎ ছাড়া যে
আমাদের প্রত্যেকটি দিন অচল তা উপরোক্ত
বিষয় হতে আমরা জানতে পেরেছি কেননা
আমাদের প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটি জিনিস
বা যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুতের প্রয়োজন
রয়েছে। এছাড়াও লোডশেডিং কেন হয় এবং
এটা সমাধানের কি ব্যবস্থা সেই
ব্যাপারে আমরা জানতে পেরেছি বিদ্যুৎ
শক্তি কাকে বলে বিদ্যুৎ শক্তি প্রবাহ
কেমন বা কিভাবে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন
করা হয় এবং কোন কোন কাজের জন্য বা
কোন যন্ত্রপাতির জন্য কি পরিমাণ
বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা উল্লেখ করা
হয়েছে।
Comments
Post a Comment